ভূমিকাঃ
ইলেকট্রনিক মেইল (সংক্ষেপে, ই-মেইল) হল ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি সংবাদ আদান-প্রদান ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিঠি (মেইল), ডকুমেন্ট বা অন্য যে কোন প্রকার তথ্য পৃথিবীর যে কোন স্থানে অবস্থিত অপর এক বা একাধিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে তড়িৎ গতিতে পাঠানো যায়।
একটি কম্পিউটারের সাথে আরেকটি কম্পিউটারের সংযোগ করা থাকে বিভিন্ন উপায়ে। কোন কম্পিউটার গুলো সংযুক্ত থাকে পুরাতন কপার ক্যাবল দ্বারা আবার কোন গুলো ফাইবার-অপটিক ক্যাবল (যা আলোর স্পন্দনের মধ্যে ডাটা সেন্ড করে) দ্বারা আবার কোন কম্পিউটার গুলো বেতার কানেকশানে যুক্ত থাকে (বেতার কানেকশান মানে আমরা যাকে ওয়্যারলেস বুঝি, এটি রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করে) এবং কোন কম্পিউটার গুলো স্যাটালাইটের সাথে সংযুক্ত থাকে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
- ইমেইল একটি বিনামূল্যের তথ্য আদান প্রদানের সহজ মাধ্যম।
- ইমেইলের কার্যক্রম দিনে ২৪ ঘন্টা এবং বছরে ৩৬৫ দিন চালু থাকে।
- ইমেল অত্যন্ত দ্রুত তথ্য সরবরাহের মাধ্যম, পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকে মুহূর্তের মধ্যে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারবেন।
- একটি ইমেইলের মাধ্যমে এক বা একাধিক ফাইল অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, আপনি ইমেইলের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথি, ছবি বা অন্যান্য ফাইল প্রেরণ করতে পারবেন।
- ইমেইলের স্টেরেজ অনেক বেশি থাকে, তাই আপনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখানে রাখতে পারেন।
- ইমেল এক ব্যক্তি বা আপনার ইচ্ছামত একাধিক ব্যক্তির কাছে প্রেরণ করা যেতে পারে।
ইমেইলঃ
ইলেকট্রনিক মেইল (সংক্ষেপে, ই-মেইল) হল ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি সংবাদ আদান-প্রদান ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিঠি (মেইল), ডকুমেন্ট বা অন্য যে কোন প্রকার তথ্য পৃথিবীর যে কোন স্থানে অবস্থিত অপর এক বা একাধিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে তড়িৎ গতিতে পাঠানো যায়। লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সীমিত স্থানের মধ্যে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা বিশ্বের যেকোন স্থানে ই-মেইল পাঠানো যায়।
ইন্টারনেটঃ
বৈশ্বিক যোগাযোগ ব্যাবস্থা এখন অনেক উন্নত হয়ে গেছে আর এই সবই কৃতিত্ব তার, যার নাম হলো ইন্টারনেট। গত ২০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে মোটামুটি ২১০টি আলাদা দেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এর বিস্তার। এমনকি পৃথিবীর অনেক দরিদ্রতর দেশও সংযুক্ত হয়ে পড়েছে এই জালে। আপনি আমি সহ বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন যে, ইন্টারনেট শব্দটির মানে হচ্ছে অনলাইনে চলে যাওয়া। কিন্তু সত্য কথা বলতে এটি একটি সাধারন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ছাড়া আর কিছুই নয়। মনে করুন একটি রাস্তার কথা যা পুরো পৃথিবী জুড়ে পেঁচিয়ে রয়েছে। যেমন করে রাস্তা দিয়ে ট্র্যাফিক বয়ে গিয়ে তার গন্তব্যে পৌঁছে ঠিক তেমনি বিভিন্ন কম্পিউটার দিয়ে ডাটা বয়ে গিয়ে তার গন্তব্যে পৌঁছে। আর এটাই হলো ইন্টারনেট এর মূল ভিত্তি। ইন্টারনেট হলো আসলে একেকটি আলাদা কম্পিউটারের একসাথে সংযুক্ত হয়ে থাকার একটি সিস্টেম (আপনার ঘরের কম্পিউটার, অফিসের কম্পিউটার, স্কুল কলেজের কম্পিউটার)। একটি কম্পিউটারের সাথে আরেকটি কম্পিউটারের সংযোগ করা থাকে বিভিন্ন উপায়ে। কোন কম্পিউটার গুলো সংযুক্ত থাকে পুরাতন কপার ক্যাবল দ্বারা আবার কোন গুলো ফাইবার-অপটিক ক্যাবল (যা আলোর স্পন্দনের মধ্যে ডাটা সেন্ড করে) দ্বারা আবার কোন কম্পিউটার গুলো বেতার কানেকশানে যুক্ত থাকে (বেতার কানেকশান মানে আমরা যাকে ওয়্যারলেস বুঝি, এটি রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করে) এবং কোন কম্পিউটার গুলো স্যাটালাইটের সাথে সংযুক্ত থাকে। আর এইভাবেই আমরা উপভোগ করতে পারি ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজ সুবিধা, ইমেইল সেবা, অথবা ডাউনলোড করি এমপিথ্রী মিউজিক ফাইলস।